মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বর্তমানে সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন-চট্টগ্রাম নৌপথে পর্যটক চলাচল চালু রয়েছে। কিন্তু তিন দিন ধরে সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ বেশি আসায় পর্যটকেরা আসছেন কম।
চট্টগ্রাম থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আসেন প্রবাসী ব্যবসায়ী আবু আহমেদ। তিনি জানান, ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে খবর পেয়ে সেন্ট মার্টিন যাত্রা বাতিল করেছেন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, দ্বীপে স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। এর মধ্যে বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টের কর্মচারী রয়েছেন তিন হাজারের মতো। দ্বীপে ২৪০টির বেশি হোটেল, মোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ (খাবার হোটেল) রয়েছে। দ্বীপের অধিকাংশ হোটেলের কক্ষ খালি পড়ে রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারাও পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাহাজমালিকেরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কে জানে!
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে ১২টি জাহাজ চলাচল করত। ১৪ হাজার পর্যটক আসত প্রতিদিন। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন জাহাজ বন্ধ থাকা এবং অতি সম্প্রতি গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় পর্যটক অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থা কত দিন থাকবে আমরা জানি না।’
পাঠকের মতামত